মোহাম্মদ আবু সাদেক, নির্বাহী পরিচালক
সেন্টার ফর হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ (এইচবিআরসি), ঢাকা।
কমবেশি ১ হাজার ৫০০ কোটি ইট প্রতিবছর তৈরি হয়। ইটভাটাগুলো নদীর পাশে হওয়ার কথা থাকলেও জ্বালানির প্রাপ্তির জন্য সাধারণত বনের পাশে হয়ে থাকে। প্রতিবছর ১ শতাংশ জমি হারাচ্ছি। এর ১৭ শতাংশ জমি ইটভাটার জন্য হারাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে খাদ্যনিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।
প্রতিবছর ২০ লাখ টন জ্বালানি কাঠ ও ২০ লাখ টন কয়লা পোড়ানো হয়। বছরে ৯০ লাখ টন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করছি। আমাদের এক ক্যাম্পাসে তিন, চার ও পাঁচতলা তিনটি বাড়ি নির্মাণ করছি। নির্মাণ প্রায় শেষের পথে। এসব বাড়িতে একটিও পোড়া ইটের ব্যবহার করিনি। আমাদের দেশে পোড়া ইট ছাড়াই একতলা থেকে ১০০ তলা ভবন নির্মাণ করা সম্ভব। আমরা চাই দেশে পোড়া ইটের ব্যবহার নিষিদ্ধ হোক।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ প্রধানমন্ত্রী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় প্রায় ৩০টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর একটি নির্দেশনা ছিল, আমাদের দেশের নদীর উজানে বালুর পরিমাণ বেশি থাকবে। ভাটিতে কাদা থাকবে। এই বালু ও কাদা দিয়ে ইট তৈরি করা যায় কি না দেখুন। এর এক বছরের মধ্যে আমরা প্রমাণ করেছি যে এটা সম্ভব। আমার শেষ কথা হলো, শুধু ড্রেজিং বালু, মাটি দিয়েই এক শ ভাগ ইটের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
Click Here for Media Coverage link
